আগরতলা : সোমবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন প্রাক্তন সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান ওয়ান নর্থ ইস্টের সভায় বেশির ভাগ নেতৃত্ব দেখা গেছে তিপ্রা মথা দলের। তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একাধিক রাজ্যের কিছু আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বও উপস্থিত ছিলেন সভায়। ওয়ান নর্থ ইস্টের সভায় দেখা গেছে তিপ্রা মথার পতাকা। আঞ্চলিক দল কোন সময় স্থায়ী হতে পারে। ভাবাবেগকে কাজি লাগিয়ে দল গঠন করা হয়। তারপর কিছু দিন আন্দোলন করা হয় সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করে। আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার পর মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারলে, নতুন করে আঞ্চলিক দল গঠনের প্রবণতা দেখা গেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলিতে। ওয়ান নর্থ ইস্টের সভাও এই ধরনের ঘটনার পদ্ধতি। এডিসি-র ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে তিপ্রা মথার বিষয়ে মানুষ জানে। তাদের প্রথম বক্তব্য ছিল তিপ্রাসা ও থানসা। তিপ্রাসাদের সার্বিক কল্যাণের জন্য তিপ্রা মথা দল বলে মানুষকে বুঝিয়ে এডিসি-র ক্ষমতা তারা দখল করেছিল। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এডিসি-র ক্ষমতা দখল করার সাথে সাথে তারা গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ডের বিল নিয়ে আসবে এবং এক বছরের মধ্যে গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ড আদায় করে দেখাবেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তিপ্রা মথা গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ড করতে পারে নি। বর্তমানে তাদের দাবি থেকে মুছে গেছে গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ডের কথা। তিপ্রা মথার পরিচয়ে তাদের পক্ষে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালন করা তাদের পক্ষে কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তারা বর্তমানে ওয়ান নর্থ ইস্টের কথা বলছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আঞ্চলিক দল গঠন করে যারা ব্যর্থ হয়েছে, তাদেরকে নিয়ে আবার নতুন করে একটি দল গঠন করে ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষকে তারা বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। ওয়ান নর্থ ইস্টের সভা থেকে নানান ভাবে জাতিগত সুরসুরি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সভা থেকে কিছু যুবকের ভাব ভঙ্গিমা জঙ্গলি মুভিকে পর্যন্ত হার মানিয়েছে বলে দাবি করেন প্রাক্তন সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা





