আগরতলা : ২০২৫ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মোট ৬ হাজার ৪১৭ জন। তার মধ্যে মহিলা ১ হাজার ২২২ জন। পুরুষ রয়েছে ৫ হাজার ১৮৯ জন। তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক রয়েছে ৬ জন। প্রদীপ প্রজ্জলন করে এইদিনের অনুষ্ঠানের সুচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। পড়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন WHO ৮ টি দিন পালন করে বছরে। তার মধ্যে একটি হল বিশ্ব এইডস দিবস। কেউ একবার এইডস আক্রান্ত হলে তার থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন উপাই নেই। এইডস-এর কোন ঔষধ নেই। বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে এইডস ছড়িয়ে পড়া রুখে দেওয়া যায়। ত্রিপুরা রাজ্য এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি এই বছর জাতীয় স্তরে গুড পারফর্মিং স্টেট হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে। এইটা ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য আনন্দের বিষয়। সমগ্র বিশ্বে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। ভারতে প্রায় ২৫.৪৪ লক্ষ মানুষ। বর্তমানে যুব সমাজ নেশার দিকে ধাবিত হচ্ছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি নেশার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান জারি রেখেছে। নেসায় যারা আসক্ত তাদেরকে সতর্ক করা প্রয়োজন। রাজ্যের মোট এইডস আক্রান্তের মধ্যে ৮৩ শতাংশ যুব। তার মধ্যে আবার ৩৯ শতাংশ যুবতী। বিভিন্ন কারনে যুব সমাজ নেশার দিকে ধাবিত হচ্ছে। স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি নজর রাখতে হবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। কোন পড়ুয়া স্কুলে বা কলেজে অনুপস্থিত থাকলে খোঁজ নিতে হবে কেন সে স্কুলে আসছে না। প্রয়োজনে অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এইডস আক্রান্ত হলে অনেক সময় বুঝা যায় না। তাই এইডস আক্রান্তদের চিহ্নিত করার জন্য বেশি করে স্ক্রিনিং অত্যন্ত জরুরি।





